ক্যাডেট কলেজের লক্ষ্য পূরণ করতেঃ যা যা জানা দরকার



বহুল প্রতিযোগিতামূলক বাছাই প্রক্রিয়ার কারণে, ক্লাস সিক্সে ওঠার সাথে সাথেই ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীকেই। আর হবে না-ই বা কেন? দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়মিতভাবে জায়গা করে নিতে দেখা যায় ক্যাডেট কলেজগুলোকে। গুণগত শিক্ষা, মানসম্মত আবাসিক সুবিধা এবং কঠোর নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশই সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের পেছনে মূল চাবিকাঠি। এজন্যেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সবারই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে থাকে ক্যাডেট কলেজগুলো।

 

ক্যাডেট কলেজের খুঁটিনাটি - 

বাংলাদেশে মোট ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ক্যাডেট কলেজ, বাকি ৩টি মেয়েদের জন্য। সর্বপ্রথম ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ক্যাডেট কলেজটি আয়তনের দিক থেকেও এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ। 

মেয়েদের জন্য বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ক্যাডেট কলেজ হলো ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ। পরবর্তীতে ফেনী ও জয়পুরহাটে মেয়েদের জন্য আরো দুটি ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ছেলেদের অন্য ৮টি ক্যাডেট কলেজ যথাক্রমে ঝিনাইদহ, মির্জাপুর, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, পাবনা ও কুমিল্লায় অবস্থিত।

ক্যাডেট কলেজগুলো শতভাগ আবাসিক হয়ে থাকে এবং এদের মূল লক্ষ্য সেনাবাহিনীর জন্য ভবিষ্যতে সদস্য প্রস্তুত করা। কাজেই খুব ছোটোবেলা থেকে ক্যাডেটদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে গড়ে তোলা হয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য উপযুক্ত করে। ক্যাডেট কলেজে বর্তমানে ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় যা এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষাক্রম ব্যাবস্থা। 

 

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া - 

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ার বাছাই দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষা, এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। প্রত্যেকটি ধাপে উত্তীর্ণ হয়েই কেবল একজন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তির জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়।

 

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি সার্কুলার - 

প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দিকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তির আবেদনের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয়। এই সার্কুলার পাওয়া যায় www.cadetcollege.army.mil.bd ওয়েবসাইটে, অথবা www.cadetcollegeadmission.army.mil.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করা যায়। 

 

ক্যাডেট কলেজে আবেদনের যোগ্যতা - 

  • ক্যাডেট কলেজে পড়তে ইচ্ছুক যেকোনো শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। 
  • ক্যাডেট কলেজে ভর্তির জন্য প্রার্থীর কিছু যোগ্যতা থাকা বাধ্যতামূলক - 
  • জাতীয়তা : প্রার্থীকে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা : ৬ষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তবেই ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যায়, কারণ একজন ছাত্র ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হয় সপ্তম শ্রেণিতে।
  • বয়স : সর্বোচ্চ ১৩ বছর ০৬ মাস হবে।
  • শারীরিক যোগ্যতা :
  • উচ্চতা  : ন্যূনতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি (বালক/বালিকা উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)।
  • সুস্থ্যতা  :   প্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
  • দৃষ্টি শক্তি :
  • চশমাবিহীন, এক চক্ষুতে ৬/১২, অন্য চক্ষুতে  ৬/১৮
  • চশমাসহ, এক চক্ষুতে  ৬/৬, অন্য চক্ষুতে ৬/৬
  • আর চশমার পাওয়ার কোন চক্ষুতেই (-) 2D এর অধিক হবেনা। এ্যাসটিগমটিজম এর ক্ষেত্রে Spherical Equivalent  হিসাব করতে হবে।

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় বয়স, শারীরিক যোগ্যতা ও অযোগ্যতার এমন কিছু ধরাবাঁধা নিয়ম থাকে যার বিস্তারিত সার্কুলারও পাওয়া যায়। আবেদনের পূর্বে এই বিষয়গুলো মিলিয়ে নেয়া খুবই প্রয়োজন। 

 

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টন ও সিলেবাস - 

ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস ও নম্বর বণ্টনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসেন। ২০২২ সালের সার্কুলার অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজিতে ১০০, বাংলায় ৬০, গণিতে ১০০ এবং বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সাধারণ জ্ঞানে ৪০ নম্বর মিলিয়ে মোট ৩০০ নম্বরের উত্তর করতে হবে। 

বাংলা ও ইংরেজি- এই দুই মাধ্যমের যেকোনো এক মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়া যায় ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায়। তবে আবেদনের সময়ে উল্লেখ করে দিতে হবে পরীক্ষার্থী কোন মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে চান। ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস পাওয়া যাবে www.cadetcollege.army.mil.bd ওয়েবসাইটের News সেকশনে। 

 

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি - 

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে একটু ভিন্ন। এছাড়া পরীক্ষার্থীর বয়সও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা রাখে। এ কারণেই এই পরীক্ষার পড়াশোনা ও মানসিক প্রস্তুতি একটু আলাদা। ক্যাডেট কলেজে ভর্তি ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থীর উচিত ক্লাস সিক্সের আগে থেকেই একটু একটু করে নিয়মিত পড়াশোনা শুরু করা।শুধু পড়াশোনাই নয়, ক্যাডেটদেরকে পারদর্শী হতে হয় বিভিন্ন খেলাধুলায়ও তাই নিয়মিত খেলাধুলার চর্চাটাও থাকা উচিত।  

বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষারই ব্যাকরণে ভালো দখল থাকতে হয় ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষার জন্য। এছাড়া যেকোনো বিষয়ে বাংলা বা ইংরেজিতে নিজে থেকেই ১০-১৫ বাক্যের একটি অনুচ্ছেদ লিখতে পারা উচিত। কাজে আসে গণিত ও সমস্যা বিশ্লেষণের দক্ষতা। নিয়মিত পত্রিকা পড়া আর বাইরের পৃথিবীর সাথে একটু যোগাযোগ রাখলে সাধারণ জ্ঞানের অংশটাও সহজেই পার করা সম্ভব। 

 

ইংরেজি - 

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিকে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয় তা বোঝার জন্য একটা তথ্যই যথেষ্ট- ক্যাডেট কলেজের পড়াশোনা ইংরেজি ভার্সনে হয়ে থাকে। অর্থাৎ, সিলেবাস একই হলেও বাংলা ১ম ও ২য় পত্র বাদে সব বিষয়ই ইংরেজিতে পড়ানো হয় এখানে। কাজেই, ইংরেজিতে যদি কারো ঘাটতি থাকে, সেই ভয় দূর করতে হবে শুরুতেই। 

ইংরেজি একটা ভাষা, কাজেই এটা নিয়ে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইংরেজিতে কী করে ভালো করতে হয় তার উপরে আমাদের বেশ কিছু ব্লগ রয়েছে, কাজেই সেগুলো আবার বলার চেয়ে বরং কী কী বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়া দরকার, তাই বলি। ইংরেজি গ্রামারে দক্ষতা থাকতেই হবে। Narration, voice change, question tags, linking verb এর মতো প্রথাগত গ্রামার টপিকগুলো তো বটেই- আয়ত্বে আনতে হবে আরো কিছু সমস্যা সমাধান।

কোনো একটা ছবির উপর ভিত্তি করে একটা গল্প লেখা, একটা বিষয়ের উপর প্যারাগ্রাফ লেখা, ডায়লগ লেখা- এই জাতীয় প্রশ্ন আসে পরীক্ষায়। তবে এইসব প্যারাগ্রাফ, ডায়লগ বা স্টোরি রাইটিং কিন্তু গাইড বা নোটবুকে পাওয়া যায় না। যেমন আমার নিজের ভর্তি পরীক্ষার সময়ে লিখতে বলা হয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার দিন সকালে আমার অনুভূতি নিয়ে! কাজেই, এখানে মুখস্তনির্ভর না হয়ে নিজের ভাষায় ইংরেজি লেখার দক্ষতাটা অর্জন করে নেয়াই ভালো। বই হিসেবে অনুসরণ করা যেতে পারে বোর্ড বইগুলো। সেই সাথে নির্ভরযোগ্য কোনো একটা গ্রামার বই। 

 

গণিত - 

ইংরেজির সমান নম্বর থাকে গণিতে। কাজেই গণিতকে হেলাফেলা করার কোন অবকাশ নেই। গণিতে অনেকেরই ভয়-ভীতি থাকে। আবার অনেকেই ভাবেন ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ক্লাস টেন পর্যন্ত অংক করা লাগে বুঝি! বিষয়টা মোটেও এমন নয়। সবার প্রথমে ভালোভাবে বুঝে শেষ করা উচিত ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বই। এবার সিলেবাস থেকে খুঁজে বের করা উচিত এর মধ্যে কোন কোন টপিক উচ্চতর শ্রেণিতেও আছে। 

যেমন, বীজগণিতের সূত্রাবলি কিন্তু ৮ম শ্রেণির বইয়েও আছে। বর্গ ও ঘনের সূত্রগুলো জানা থাকা প্রয়োজন, কিন্তু তাই বলে ঢালাওভাবে ৮ম শ্রেণির বইয়ের সব অংক করার দরকার নেই। একইভাবে পরিমাপ ও পরিমিতির সূত্র, কীভাবে এক একক থেকে অন্য এককে নিতে হয়, জ্যামিতির সংজ্ঞা- এসব বেসিক বিষয় খুব বুঝে বুঝে মনে রাখা প্রয়োজন। সেই সাথে পাটিগণিতের ঐকিক নিয়ম, সুদ-কষা, লাভ ক্ষতি, অনুপাত, শতকরা- এসব সমস্যা সমাধান করতে পারা উচিত। 

ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় সময় একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ, আর এই চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি মনে হয় গণিতে। কাজেই, কিছু ক্ষেত্রে সংক্ষেপে অংক করতে শিখতে হবে। তবে, মূল নিয়ম না শিখে সংক্ষেপে করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। এমন কোন বড়ো হিসাব আসবে না যার জন্য ক্যালকুলেটর লাগে। তাই আগে থেকে ক্যালকুলেটর ছাড়াই অংক করার অনুশীলন করা উচিত। 

 

বাংলা- 

বাংলায় ভালো করার জন্য আবারও ৬ষ্ঠ শ্রেণির বোর্ড বই পড়ার পরামর্শ থাকবে। মূল বইয়ের গদ্য, পদ্য, মূলভাব, শব্দার্থ, কবি পরিচিতি ইত্যাদি ভালোভাবে মনে রাখা উচিত। ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণের বোর্ড বইটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। নবম-দশম শ্রেণির বই শুনে একটু কঠিন মনে হলেও আসলে বাংলাদেশের যেকোনো প্রতিযোগতামূলক পরীক্ষার জন্য এর চেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাকরণ বই আর দ্বিতীয়টি নেই।

লিখিত অংশে ভালো করার জন্য আবারও ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং-এ ভালো হবার পরামর্শ থাকবে। প্রচুর গল্পের বই, পত্রিকা ইত্যাদি পড়ার অভ্যাস থাকলে এই কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এই অংশগুলো মুখস্ত করার চিন্তা করা যাবে না। কঠিন কঠিন বিষয় পড়তে পড়তে ক্লান্ত লাগলে তখন যেকোনো রচনা বই থেকে ভাব-সম্প্রসারণ, রচনা- এসব অংশে চোখ বুলিয়ে নেয়ার অভ্যাস করলেই প্রস্তুতি হয়ে যায়। 

 

সাধারণ জ্ঞান - 

সাধারণ জ্ঞান নিয়ে অনেক সময় দিতে গিয়ে অনেকেরই বাংলা, ইংরেজি ও গণিত প্রস্তুতিতে ঘাটতি থেকে যায়। এই বোকামি একদমই করা যাবে না। ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবই, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, আইসিটি ও সাধারণ বিজ্ঞান বইগুলো ভালো করে পড়া থাকা উচিত। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়ে ঝাঁঝরা করার দরকার নেই, তবে বিশ্বজুড়ে একদম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো মাথায় রাখতে হবে। 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন আসে। সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতি নিতে হবে নিজের শক্তির উপর নির্ভর করে। যেমন আমি সাল, তারিখ মনে রাখতে পারতাম না বলে খুব বেশি সময় দিতাম না এ বিষয়ে। যেকোনো এক ধরণের প্রশ্ন ২-১টার বেশি কখনোই আসে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কেউই শতভাগ নম্বর পায় না, বা পাওয়ার দরকারও পড়ে না। যে সময়টা আমি সাল তারিখ পড়ায় ব্যয় করতাম সেই সময়টা বাংলা বা ইংরেজিতে দেওয়া আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। 

 

শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি - 

ক্যাডেট কলেজ পরীক্ষায় যেহেতু শুধু লিখিত অংশে উত্তীর্ণ হলেই হয় না, তাই কিছু শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। শারীরিক যোগ্যতাগুলোর মধ্যে কিছু কিছু বিষয় আসলে আমাদের হাতে থাকে না, যেমন চোখের পাওয়ার বা gross knock knee (গোড়ালি এক করে দাঁড়ালে যদি হাঁটুর হাড় দুটো একে অন্যের সাথে লেগে যায়)। কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণ করা যায় যদি তার পেছনে মেডিক্যাল ইস্যু না থাকে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে সঠিক বি এম আই বা ওজন। একটু দৌড়ঝাঁপ, বিকেলে সামান্য খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকতে সহায়ক। 

মৌখিক পরীক্ষার জন্য সবার প্রথমে নিজের নার্ভাসনেসকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে হবে, ভয় পেলে চলবে না। কোনো শখ থাকলে বা গান-নাচ-আবৃত্তির মতো কিছু জানা থাকলে বেশ ভালো। উপস্থিতমতো যেকোনো বিষয়ে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারা উচিত। এছাড়া বিশ্ব মানচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো দেখানো বা পরীক্ষার দিনের দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম জাতীয় প্রশ্ন কখনো কখনো জিজ্ঞেস করা হয়।

মনে রাখতে হবে, ক্যাডেট কলেজ কিন্তু শুধু পড়ুয়া ছাত্র চায় না, এখানে প্রয়োজন অলরাউন্ডার। যে পড়াশোনায় ভালো কিন্তু একই সাথে চাপ নিতে পারে, পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এবং নেতৃত্বদানেও পারদর্শী। কাজেই যেকোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে ফোকাস করে আসলে এই পরীক্ষায় সফল হওয়া যাবে না। 

আশা করি এই লেখাটা পড়ে নতুন পরীক্ষার্থীর ভয় অনেকটাই কেটে যাবে। আর তোমাদের খাকি ড্রেস গায়ে চাপানোর জন্য অগ্রীম শুভকামনা রইলো।

 

Post Date: 27th Jan, 2024